শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা: মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের মধ্যহাঁসাড়া শিংহের পাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল মাঝীর ছোট ছেলে জাকির ওরফে চায়না জাকির(৩০)এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে সনাক্ত করা গেছে আরো ৫ জনকে, আকাশ(২৫) মোসারফ হোসেন ওরফে মুসা চোরের ভাই মোজাম্মেল(৪৫) বাপ্পি (২৯)।
স্থানীয় সুত্র জানায়
সিসিটিভি ফুটেজের মোটা স্টেপ গেঞ্জি পড়া বাপ্পি(২৯) মিরপুর থানার হত্যা মামলার আসামী,দীর্ঘদিন যাবদ সে হাসাড়ায় পলাতক।
ভুক্তভোগী সুত্র জানায়
রবিবার বেলা ১১ টার সময় একই গ্রামের স্থানীয় প্রবীণ শ্রীনগর থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব বাবুল আখতার মন্টু তাহার সাফ ক্রয় কৃত জমিতে বালু ভারাট এর উদ্দ্যেশ্যে ডাম ট্রাক পৌছলে জাকির গ্রুপ ট্রাক ডাইভারদের বাঁধা প্রদান করে গালি গালাজ করে এবং হুমকি দেয় এখানে বালু ফেলা যাবে না।
বালুর কন্ট্রাক্টর নিজাম ও তার ট্রাক ডাইভার সহ সকল কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা মন্টুকে ঘটনা জানায় এবং তার কালীখোলার বাসায় যেয়ে দেখা করে পুরো বিষয় তুলে ধরেন
জমির মালিক আলহাজ্ব বাবুল আখতার মন্টু,ঘটনা শুনে খোজ খবর নিয়ে ঘটনার ব্যাপারে কর্মীদের সাথে আলাপ করছিলেন।
এমন সময় রবিবার বেলা ১২ঃ০০ টায় জাকির নিজে কোমরে অস্ত্র সহ তার জমির মালিক মন্টুর বাসায় ঠুকে পরে ও ঘরে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষা লোকদের গালিগালাজ করে এবং জমির মালিক মন্টুকে অস্ত্র প্রদর্শন করে ১০ লাখ টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয় এবং বালুর কাজ করতে দেয়া হবে, না বলেও হুশিয়ারি করে দ্রুত মটর সাইকেল যোগে চলে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে বাপ্পিকে জাকিরের মটর সাইকেলের পিছু পিছু আরেকটি মটর সাইকেল যোগে আরো অজ্ঞাত একজন সহ আসতে ও বাহিরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়
বেরিয়ে যাবার সময় মটর সাইকেলে উঠে ফিল্মি স্টাইলে মটর বাইক দ্রুত ঘুরিয়ে জাকিরের কোমর থেকে অস্ত্র তুলে নিতে নির্দেশ দেয় ও বাপ্পি এদিক ওদিক তাকিয়ে সতর্কতার সাথে অস্ত্রটি বুঝে নেয় ও দ্রুততার সাথে তা তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিজামউদ্দিন এন্টারপ্রাইজ’র প্রোপাইটর মোঃ নিজামউদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান,আমি ১৯ লক্ষ টাকা বাজেট দেই তিনি ১৯ লক্ষ টাকা চুক্তিতে আলহাজ্ব বাবুল আখতারর মন্টুর স্যারের কাছ থেকে বালু ভরাটের কাজটি আমি বুঝে নিয়ে কাজটি শুরু করি।
আমি কম টাকায় কাজটি কেন নিলাম তারজন্য জাকির ও তাদের লোকজন আমার ভরাট কাজে ব্যবহৃত বড় ৮টি ড্রাম ২৭ তারিখে রাত ৮টা হইতে ১২ টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টা বে আইনী ভাবে আটকিয়ে রাখে।
অভিযুক্ত জাকিরের মোবাইলে
একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্তকালে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।