আটকৃতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার নটখোলা গ্রামের মৃত মাসুদের ছেলে সোহেল ওরফে রোমান(২৪) এবং গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার দিস্তাইল গ্রামের মৃত বেলায়েত খন্দকারের ছেলে সেলিম খন্দকার ওরফে আবু হানিফ (৫৫)।
এ ঘটনায় পল্লী চিকিৎচক মোহর আলীর বাড়ি পরিদর্শন করেছেন মাগুরা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহম্মদ জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইব্রাহীম ও মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কয়েক কিলোমিটার দূরে অজোপাড়া গায়ে চিকিৎসক মোহর আলীর বাড়ি। তিনি পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ৫জনের মুখোশ পরা একদল ডাকাত মোহর আলীর বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতরা বাড়ির মেইন গেটের গ্রীলের তালা খুলে বাড়ির ভিতরে ঢোকে। এরপর সিসি টিভি ক্যমেরার মুখে কাপড় দিয়ে বাড়ির লোকজনকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ২০ হাজার টাকা, ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫ শত টাকার স্বর্ণলংকার, ১২ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্যামস্যাং মোবাইল সেট এবং ২০ হাজার টাকা মূল্যের সিসি ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরতর্তীতে ডাকাত বলে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের কয়েকটি টিম বিভিন্ন জায়গায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ভোর ৫টার দিকে উপজেলার পাল্লা মধুমতি নদী ঘাট এলাকার থেকে দুজনকে আটক করা হয়। তাদের দেহ তল্লাশী করে ডাকাতির ৬ হাজার নগদ টাকা কিছু স্বণ্যলংকার উদ্ধার করে এবং তাদের তথ্য ডাকাতির মোবাইল সেট ও সিসি ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার মোহর আলীর বাড়ির উত্তর পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
মহম্মদপুর ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় মোহর আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আটককৃত আসামীদের তথ্যমতে অন্যান্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ReplyForward
|