ইবি প্রতিনিধি, আশিক আব্দুল্লাহঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২০ আগষ্ট ভিসি ও ট্রেজারারের মেয়াদ শেষ হয়। প্রায় দুই মাস পর ভিসি নিয়োগ হলেও ট্রেজারার পদটি শুন্য আছে। অর্থনৈতিক শৃংখলা রক্ষার ধারক বাহক পদটি শুন্য থাকায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরই মধ্যে ডজন খানেক সিনিয়র শিক্ষক দৌড়াঝাপ করলেও আওয়ামী বিরোধী দুজন শিক্ষক এগিয়ে আছেন বলে বিভিন্নসূত্র নিশ্চিত করেছে। জানাগেছে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মূঈদ রহমান ৯০ সালে যোগদানের পর হতে অদ্যবধি বঙ্গবন্ধু পরিষদে যোগ দেননি। তিনি বাসদ রাজনীতির সঙ্গে সরাসরীযুক্ত। এছাড়াও মাদকাসক্ত, অন্যের বৌ নিয়ে দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ এবং মেয়ে হল এর সামনে মাতলামী করা অবস্থায় পুলিশের হাতে গ্রেফতারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু বিদ্বেসী মুঈদ রহমান ইবির ট্রেজারার পদ পেতে সরকারের বিভিন্ন মহলে জোর লবিং করে চলেছেন এবং বিশ্বশ্তসূত্রে জানা গেছে বর্তমান ভিসির অনুকম্পা নিয়ে ট্রেজারারের পদ বাগিয়ে নেয়ার জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি। একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ৯৬ সালে ইবিতে যোগদানের পর হতে বঙ্গবন্ধু পরিষদে যোগ না দিলেও হঠাৎ ২০২০ সালের শুরুর দিকে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত একাংশের কমিটির সদস্যপদে তাঁর নাম দেখা যায়। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের সভাপতি বেলালের রুমমেট এবং ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরীযুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাচনের পূর্বে চাঁদা প্রদানে সরাসরী অস্বীকৃতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য হবেন না বলে ছাপ জানিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ নির্বাচনে সকল ভোটার তালিকা প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। কোন ভোটার তালিকায় তাঁর নাম পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাঁর নেতৃত্বে গত শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে জামাত-বিএনপি প্যানেলে ভোট দিয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক প্যানেলকে পরাজিত করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঈয়া ট্রেজারার পদ পেতে সর্বোচ্চ তদবীর করছেন সরকারের বিভিন্ন মহলে। এক্ষেত্রে জাতীয় চার নেতার পরিবারের সুপারিশ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের বাইরের কেউ ট্রেজারের দায়িত্ব পেতে পারেন ক্যাম্পাসে এমন গুন্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজে মারাত্নক প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে একাধিক সিনিয়র শিক্ষক বলেন স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইবিতে এত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী সিনিয়র শিক্ষক থাকতে আওয়ামী বিদ্বেষী কেউ ট্রেজারার পদে নিয়োগ পেলে তাহবে ইবির জন্য দূর্ভাগ্যজনক। ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাচিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কে এম সালেহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আমাদের অগাত আস্থা আছে। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সৎ ও দক্ষ যেকোন অধ্যাপককে ইবির ট্রেজারারের দায়িত্ব দিয়ে ইবির উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখবেন বলে আমরা আশা রাখি। উল্লখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের প্রায় সকল শিক্ষক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য হলেও গুটিকয়েক শিক্ষক অসম্মতি জানায়। তারমধ্যে অধ্যাপক মুঈদ রহমান ও অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া অন্যতম। এছাড়া অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেন, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক সাইদুর রহমান, অধ্যাপক মাহবুবুল আরেফিন, অধ্যাপক শাহজাহান মন্ডল ট্রেজারার পদের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।