বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় ধান ক্ষেতে কিটনাশক দেয়ায় দুই বৃদ্ধার ১১টি হাঁস মারায় ক্ষতিপূরণের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অবস্থান নিয়েছেন হাঁসের মালিক নীলচাঁদ আলী ও কবেজ উদ্দীন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর একডালা মহল্লায়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর একডালার (মধ্যপাড়া) সামসুল ইসলাম বাড়ির সামনে তার ধানের ক্ষেতে পোকামারার জন্য কিটনাশক প্রয়োগ করেন। বিষ প্রয়োগের বিষয়টি তিনি ওই এলাকার কোন লোকজনকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। পরে একই মহল্লার (বিলাশপাড়া) নীলচাঁদ আলী ও কবেজ উদ্দীন নামের দুই বৃদ্ধার ১১টি হাঁস ওই ধানের জমিতে যায় এবং ধানের পাতা ও ক্ষেতে জমে থাকা বিষাক্ত পানি পান করায় হাঁস গুলো মারা যায়। বিষয়টি হাঁসের মালিকগন সামসুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরন করে তাড়িয়ে দেন। সামসুল ইসলামের আচরনে ক্ষুদ্ধ হয়ে নীলচাঁদ আলী ও কবেজ উদ্দীন নামের দুই বৃদ্ধা মরা হাঁস গুলো নিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে যান। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসের বাহিরে থাকায় দুই বৃদ্ধার অফিসের নীচে অবস্থান নেন। হাঁসের মালিক নীলচাঁদ আলী ও কবেজ উদ্দীন অভিযোগ করেন, সামসুল ইসলাম ষঢ়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাদের পোষা হাঁস গুলো মেরে ফেলেছে। এ ব্যাপারে সামসুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।
