মোঃ মোজাম্মেল হোসাইন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: সমাজের অবহেলিত পেশার মানুষ হচ্ছে ভিক্ষুক। তারা সারাদিন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে যা পায় তা দিয়েই সংসার চালায়। কখনো কম, কখনো বেশি, কখনো আবার না খেয়ে দিন কাটাতে হয়। নেই কোন থাকার উপযুক্ত বাসস্থান। নোবেল বিজয়ী ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক এই পেশার মানুষদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে, সম্মানজনক পেশায় ফিরিয়ে আনতে এবং ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করে কর্মসংস্থানে ফিরিয়ে আনতে সংগ্রামী সদস্য নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখার কর্মএলাকায় ভিক্ষুকদের খুঁজে খুঁজে বের করেন।ঝাল মুড়ি, পান সুপারি, শুটকি,বুট -বাদাম, আইসক্রিম, শাকসবজি ইত্যাদি ফেরি ব্যাবসা করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য বিনা সুদে ঋণ প্রদান করে গ্রামীণ ব্যাংক। ব্যাংকের এইসকল সংগ্রামী (ভিক্ষুক) সদস্যগণ বর্তমানে করোনা দুর্যোগের সময় আয়-রোজগার না থাকায় অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গ্রামীণ ব্যাংক এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের পাশে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে সারাদেশের প্রত্যেকটি শাখার ন্যায় রাঙামাটি যোনের মাটিরাঙ্গা এরিয়ার অন্তর্গত মানিকছড়ি শাখা এই সকল সংগ্রামী (ভিক্ষুক) সদস্যদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।
১২ ই মে মঙ্গলবার গ্রামীণ ব্যাংক মানিকছড়ি শাখার কর্মএলাকার ২৭ জন সদস্যদের সাতটি পরিবারের মাঝে দ্বিতীয় দফায় ২ হাজার ৬ শত টাকার খাদ্য সামগ্রী ও নগদ ৬০০ টাকা বিতরণ করেন শাখা ব্যবস্থাপক জনাব কবির আহাম্মদ সরকার।
বিতরণকালে শাখা ব্যবস্থাপক সাংবাদিকদের বলেন, এই সংকটময় মুহূর্তে তাদের সংগ্রামী সদস্যদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ব্যাংকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই মহতী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শাখার দ্বিতীয় স্বাক্ষরকারী জনাব রেখা দেওয়ান।
