শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর গোয়ালী মান্দ্রা খালটি কচুরী পানায় ভরে গেছে। ফলে আড়িয়াল বিলের সহস্রাধিক কৃষকের র্দুভোগও বেড়ে গেছে। লাগাতার বৃষ্টির কারনে আড়িয়াল বিলের ধান ক্ষেতসহ এ খালটি পানিতে ভরে গেছে। সাথে সাথে কচুরী পানাতেও খালটি ডেকে গেছে। বৃষ্টির পানি কারনে কৃষকরা আড়িয়াল বিল থেকে ধান কেটে মাথায় করে আনতে পারছে না। নৌকা ও ট্রলারই তাদের একমাত্র ভরসা। আড়িয়াল বিলের প্রায় কয়েক হাজার একর ধানী জমির মালিক উপজেলার শ্রীনগর, শ্যামসিদ্দি,ষোলঘর, হাঁসাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এই ইউনিয়ন গুলো থেকে তাদের ফসলী জমি গুলো আড়িয়াল বিলের আনুমানিক ৭/৮ কিঃ মিঃ দূরে। তাই কৃষকরা তাদের ফসলী জমি দূরে হলেও এ মৌসুমে আড়িয়াল বিল থেকে ধান কেটে খাল দিয়ে নৌকা ও ট্রলার য্োেগ বাড়ীতে উঠায়। করোনা মহামারীতে লক ডাউন থাকায় কৃষকরা ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছে না এই দিকে অনরত বৃষ্টির পানিতেও পাকা ধান ডুবে যাচ্ছে। পদ্মা নদী থেকে এ ঐতিহ্যবাহী খালটি লৌহজং উপজেলার হলুদিয়া, গোয়ালীমান্দ্রা এবং শ্রীনগর বাজারে পার্শ্ব দিয়ে ঘেঁষে আড়িয়াল বিল হয়ে ধলেশ্বরী নদীতে পতিত হয়। পূর্বে এই খাল দিয়ে লোকজন লঞ্চ, স্ট্রিমার, পানসি, ডিঙ্গি, ঘাসি, কার্ফুু ও গয়না নৌকা যোগে রাজধানী ঢাকাতে যাতায়াত করত। পদ্মা নদী থেকে এই খাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছও আড়িয়াল বিলে প্রবেশ করত। কচুরী পানার কারণে ুখালটি দিয়ে এখন নৌকা ও ট্রলার চলাচল করতে পারছে না।
শ্রীনগর ইউনিয়নের মুন্সীরহাটি গ্রামের কৃষক আমির হোসেনের সাথে কথা হলে, তিনি জানায়, আমাদের গ্রামসহ আশপাশের সব গ্রামের অনেকের আড়িয়াল বিলে জমি রয়েছে। আমরা ধান কেটে এই খালটি দিয়ে সহজেই বাড়ীতে তুলতাম। কিন্তু এ বছর খালটিতে কচুরী পানা থাকার কারনে আমরা খাল দিয়ে ধান আনতে পারছি না। ধান আনতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
শ্যামসিদ্দি ইউনিয়নের কৃষক মরন বেপারীর সাথে কথা হলে তিনি জানায়, এই বছর আমরা শেষ। একদিকে করোনা কারনে কৃষান পাই না। অন্য দিকে ধান কাটলেও আনার কোন ব্যবস্থা নেই। যে খালটি দিয়ে কাটা ধান আনুম সে খালটিতে কচুরী পানায় ভরে গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষকদের বিষয়টি আমি দেখছি। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।