তাজুল ইসলাম রাকীব, লৌহজং প্রতিনিধিঃকোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৪০টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আর মাত্র দুটি পিলারের কাজ হলেই সবগুলো পিলারের (৪২টি) কাজ শেষ হবে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় শেষ হয় ১০ নম্বর পিলারের কাজ। করোনাভাইরাস কাজের গতিতে প্রভাব ফেললেও এগিয়ে যাচ্ছে সেতু নির্মাণের কাজ।
সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের শেষ হলেই সম্পন্ন হবে সব পিলারের কাজ। এ দুটি পিলারে এখন কংক্রিটিং চলছে। এ কাজ শেষ হয়ে সময় লাগবে প্রায় এক মাস। এরপর সবগুলো পিলারের কাজ ১০০% সম্পন্ন হবে।
দেশে বর্তমানে পদ্মা সেতুর ৩৯টি স্প্যান আছে। চীন থেকে দুইটি স্প্যান আসার কার্যক্রম চলছে। চীনে স্প্যানগুলো তৈরি হয়ে নৌপথে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এ কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুতে নিয়োজিত চীনা প্রকৌশলী-শ্রমিকরা এখনো পুরোপুরি কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাঁদের সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন।
পদ্মা সেতুর ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১,৪২ নম্বর পিলারে বসেছে ২৫টি স্প্যান। স্প্যান বসানো বাকি পিলারগুলো হলো-১, ২, ৩, ৪, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ২০, ২৬, ২৭, ২৮ নম্বর। এছাড়া পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৭২২টি ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৩৪৪টি।
এছাড়া মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ২৬তম স্প্যান সেতুর ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারে বসিয়ে ৩ হাজার ৯০০ মিটার দৃশ্যমানের পরিকল্পনা রয়েছে পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীদের।