তাজুল ইসলাম রাকীব, লৌহজং প্রতিনিধিঃ সারা বাংলাদেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ব্যাপক ভাবে আলু চাষ হয়ে থাকে। মুন্সীগঞ্জের আলু সারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়।এখানকার আলু খাবারের জন্য অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।কিন্তু দিনে দিনে আলু চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক।সরেজমিনে কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায় কেন দিনে দিনে আলু চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক।আলুর ন্যায্য মূল্য না পাওয়া, সার ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধি, শ্রমিকের সংকট, বর্ষার পানি সময়মতো জমি থেকে না নেমে যাওয়া উল্লেখ করেছেন কৃষক। তাছাড়া হিমাগারের সংকট রয়েছে,লৌহজংয়ে মাত্র তিনটি হিমাগার রয়েছে পয়সা কোল্ডস্টোরেজ , নওপাড়া কোল্ডস্টোরেজ ও উদয়ন কোল্ডস্টোরেজ। এই হিমাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতা ও কম।বাঐসার গ্রামের কৃষক মোঃ রাজীব হাওলাদার বলেন,
বর্ষাকালের পানি নেমে যাওয়ার কারণে আলু চাষ করতে বিলম্ব হয়েছিল তাই আলু উত্তোলনের সময় একটু পিছিয়ে যাবে। সামনে ঝড় বৃষ্টির দিন সময়মতো আলু ক্ষেত থেকে না উঠাতে পারলে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”।ধারার হাট গ্রামের বাসিন্দা হাজী মোঃ মতিউর রহমান ওরফে মনু হাওলাদার বলেন,” বৃষ্টি হলে খেতে পানি জমে যাবে।এতে করে আলুতে পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হবে এবং ফলন কম হবে এজন্যই আমরা খুব চিন্তায় আছি”।শুরপাড়া গ্রামের মোঃমুজাফফর কাজী জানান ,এক সময় ১৫/২০ কানি আলু চাষ করতাম এখন আলুর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় আলু চাষ কমিয়ে দিয়েছি।সরকারিভাবে হিমাগার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিলে আলু চাষে আবারো আগ্রহ বাড়াবে কৃষক”।এ ছাড়া জমি থেকে আলু উত্তোলন করতে আরো ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে।এই সময়টা ঝড় বৃষ্টির দিন তাই কৃষক আলুর লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ভাবছেন।
