শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ-মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ভাগ্যকুল বড় খালের জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পদ্মা নদী থেকে এ খালটি আড়িয়াল বিল হয়ে ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীতে মিশেছে। পূর্বে এই খাল দিয়ে লোকজন লঞ্চ, স্ট্রিমার, পানসি, ডিঙ্গি, ঘাসি, কার্ফ ও গয়না নৌকা যোগে রাজধানী ঢাকাতে যাতায়াত করত। পদ্মা নদী থেকে এই খাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির আড়িয়াল বিলে প্রবেশ করত। দখল দূষণের কারনে এ খালটির সেই আগের রূপ আর নেই। এখন আর পাওয়া যায় না দেশী সেই মাছ। চলে না আর রঙ্গে বেরঙ্গের সেই নৌকা, লঞ্চ ও ষ্ট্রিমার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদী ভাগ্যকুল বাজার ঘেয়ে শুরু হয় এ খালটি। বালাশুর বৌ-বাজার, উত্তর বালাশুর টেটামারা হয়ে আড়িয়াল বিলে প্রবেশ করে। আড়িয়ালর বিল থেকে এখালটির বিভিন্ন শাখা খাল বেড় হয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে যোগ হয়। ভাগ্যকুল বাজার অংশে খালটি শুরু মুখ থেকে মের্সাস পদ্মা এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী মোঃ নান্নু বেপারী, অলক এন্টার প্রাইজ স্বত্বাধিকারী মাইন চৌধুরী পুলক খালটির পশ্চিম পাশটি বালু ভরাট করে ভবন নির্মান করে এবং খালটির পূর্ব পাশটি জামাল ঢালী, আমজাত হোসেনগং বালুু ভরাট করে বিভিন্ন টিনের ঘর নির্মাণ করে খালটি দখল করে নেয়। বালাশুর বৌ-বাজারে পাশে সেলিম মোল্লা, কাঞ্চন মোল্লা গং খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ করে দখল করে নেয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুজ্জামান সাংবাদিকদের আক্ষেপ করে বলেন, আপনার অনেক নিউজ করেন দেখি। কিন্তু ভুমিদস্যূরা যে এ ঐতিহ্যবাহী খালটি দখল নিয়েছে এব্যাপারে একটু লিখেন। তাহলে দেশ ও জাতি কিছূ পাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলাশয় কোনভাবেই বন্ধ করা যাবে না। যারা বন্ধ করেছে তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।