থামছেই না এতিম ভুমিহীনের সম্পত্তিতে আওয়ামী-লীগ নেতার ভবন নির্মান
শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার বাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুর বৌ-বাজার গ্রামে থামছেই না এতিম ভুমিহীনের সম্পত্তিতে আওয়ামী-লীগ নেতা সেলিম মোল্লার ভবন নির্মান কাজ। সে রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দাবী কর আসছে। রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান বারেক খান বারী বলেন, উনি আওয়ামী-লীগ নেতা হলেতো আমি জানতাম। যেহেতু আমি উপজেলা আওয়ামী-লীগের একজন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। আওয়ামী-লীগ নেতা দাবী করে আসা সেলিম মোল্লা গত ২৫ ডিসেম্বর/২০১৯ একই গ্রামের এতিম ভূমিহীন সুমি আক্তারের সরকার কর্তৃক বন্দোবস্তের জায়গায় জোড় পূর্বক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। স্থানীয় সার্ভেয়ার তর্কিত জমি গত ২২ জানুয়ারী মাপঝোগ করে সীমান নির্ধারন করে আসলেও এ নেতা সে মাপঝোগের কোন তোয়াক্কা না করেই বিরতিহীন ভাবে ভবন নির্মান কাজ করে আসছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন ওরফে হারু, আওয়ামী-লীগ নেতা শহিদুল ইলাম রিপন বেপারীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে অনবরত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। গত ৬ বৎসর পূর্বে দুই মেয়েকে রাখিয়া হঠাৎ করে ভূক্তভোগীর পিতা সামাদ বেপারী মারা যাওয়ার পর হতে এ পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। অসহায়ান্তের সুযোগ নিয়ে ভুমিহীন পরিবারটিকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে এ কথিত আওয়ামী-লীগ নেতা। এই নিয়ে একাধিকবার স্থানীভাবে চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু কথিত নেতা সেলিম মোল্লা কোন মীমাংসাই মানেনি। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে গত ২ জানুয়ারী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রীনগর বরাবরে একটি অভিযোগ করলে কথিত নেতা তার সঙ্গবদ্ধ দল নিয়ে অসহায় পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি নিয়ে দিয়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করলে এব্যাপারেও সুমি আক্তার বাদী হয়ে গত ২২ জানুয়ারী শ্রীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। যার নং- ৯৫৪। পরে থানা পুলিশ সাধারণ ডায়রী বিষয়ে তদন্ত করে সেলিম মোল্লা গংদের বিরুদ্ধে ঘটনা সত্যতা পেয়ে তাদেরকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে গত ইং ২৮ জানুয়ারী একটি প্রসিকিউশিন দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম মোল্লা গং ভুমিহীনের ৪ শতাংশ সম্পত্তি ৬৫ বৎসর যাবৎকাল তাদের দখলে আছে মর্মে সরকারপক্ষসহ ভূমিহীন পরিবারকে বিবাদী করে সেলিম মোল্লাগং বাদী হয়ে বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে বিরুদ্ধ দখলী স্বত্ব ঘোষণার মোকদ্দমা নং ১২/২০ দায়ের করে এবং নিজেরাই সরকারী সাইনবোর্ডের ন্যায় একটি সাইন বোর্ড টানিয়ে ভবন নিমার্ণ কাজ চালিয়েই যাচ্ছে। যেহেতু এই দাগের সম্পত্তি নিয়ে পূর্বেই বাংলাদেশ হাই কোর্ট হইতে ভূহিমীন পরিবারটি রায় পেয়েছে।
শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ।
তাং-০১/০২/২০