শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলায় নাসার্রী ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছে আব্দুল কাইয়ুম। উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের পশ্চিম দেউলভোগ গ্রামের ৩৫ শতাংশ জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন বনজ, ফলজ ও বিভিন্ন জাতের ফুলের নার্সারী বাগান। তার নার্সারীতে বারো মাসী আমের চারাসহ উন্নত বিভিন্ন জাতের ফলনশীল অন্যান্য চারাগাছও রয়েছে। রাস্তার পাশে নার্সারীটি থাকায় প্রতিদিন অনেক মানুষ ঘুরতে এসে বিভিন্ন চারা কিনে নিয়ে যায় এ নার্সারী থেকে।
আব্দুূল কাইয়ুম দেউলভোগ গ্রামের আমিনুুল হকের ছেলে। বর্তমান তার নার্সারী ফলজ, বনজ বিভিন্ন জাতের চারাসহ উন্নত জাতের দেশী বিদেশী ফুলের চারাও রয়েছে। তিনি বিভিন্ন জাতের চারা উৎপাদন করে খুচরা ও পাইকারী মুল্যে মুন্সীগঞ্জ জেলাসহ আশপাশের জেলা গুলোতে বিক্রি করে থাকেন। নার্সারীতে বর্তমানে ৫ জন শ্রমিক কাজ করে। আব্দুল কাইয়ুম নার্সারী সর্ম্পকে প্রশিক্ষন নিয়ে তার নার্সারীতে থাকা শ্রমিকদের উন্নত জাতের ফলনশীল চারা উৎপাদনে তিনি তাদের নিজেই প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন।
জানা গেছে, শুরুতেই আব্দুুল কাইয়ুমের কোন পুজিঁ ছিল। তিনি স্থানীয় একটি সমিতি থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে গত ২০১৩ সালে পশ্চিম দেউলভোগ গ্রামের শ্রীনগর হইতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার রাস্তার পাশ্বে ৩৫ শতাংশ জমিতে মাটি ভরাট করে তিনি এ নার্সারী শুরু করেন । নার্সারী ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় তাকে আশপাশের অনেকেই এ ব্যবসা ব্যবসা শুরু করে। তিনি নিজের তৈরী জৈব ও সবুজ সার নার্সারীতে ব্যবহার করেন। এতে নার্সারী চারাগাছ গুলো অতি দ্রুত বাড়ে ও সবুজ থাকে।
আব্দুুল কাইয়ুম বলেন, তিনি চাকুরীর জন্য অনেক জায়গায় খোজাখুজি করে না পেয়ে বেকারত্ব জীবন যাপন করছিলেন। পরে তিনি স্থানীয় কিছু মুরুব্বীদের পরামর্শ নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করে। তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের বেতন দিয়ে তিনি বৎসরে প্রায় ২ লক্ষ টাকার আয় করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বনায়ন ও নার্সারী কেন্দ্র কর্মকর্তা সেলিম হোসেন খান বলেন, নার্সারী ব্যবসা অত্যান্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। এ ব্যবসা করে আঃ কাইয়ুমের মত অনেক বেকার ছেলে স্বাবলম্বী হয়েছে। দেশের বনায়ন বৃদ্ধি জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।