মো: জাকির হোসেন লস্কর: আল্লাহ বলেন, (হে নবী) ! আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, যখন বাস্তব সত্য এটাই তখন তোমরা কি চিন্তা করো না যে আল্লাহ যদি আমার কোনো ক্ষতি করতে চান, তাহলে তোমরা আল্লাহকে ছাড়া আর যাকে ডাকো তারা কি তাঁর ক্ষতি থেকে আমাকে বাঁচাতে পারবে ? অথবা আল্লাহ যদি আমার প্রতি মেহেরবানী করেন, তাহলে তারা কি তাঁর রহমত ঠেকিয়ে রাখতে পারবে ? আপনি বলে দিন, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ভরসাকারীরা শুধু আল্লাহর ওপরই ভরসা করে থাকে। সূরা যুমার: ৩৮
ইবনে আবী হাতেম ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে হাদিস উদ্ধৃতি করেছেন যে, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষের চেয়ে অধিক শক্তিশালী হতে চায়, সে যেন আল্লাহর ওপর ভরসা করে। যে ব্যক্তি সবার চেয়ে অধিক ধনবান হতে চায়, সে যেন তার নিজের কাছে যা আছে তার চেয়ে আল্লাহর কাছে যা আছে তার ওপর বেশি আস্থা ও নির্ভরতা রাখে। আর যে ব্যক্তি সবার চেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী হতে চায়, সে যেন মহান আল্লাহকে ভয় করে।
যে আল্লাহকে ভয় করে, তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দিবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য আল্লহ যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেনই। আর আল্লাহ সব কিছিুর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঠিক করে রেখেছেন। সূরা আত ত্বালাক: ৩।
হযরত ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.) কে বলেতে শুনেছি, যদি তোমরা আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করার হক আদায় করতে, তবে তিনি পাখিকে রিজিক দেয়ার মতোই তোমাদেরকে দিতেন। পাখি তো সকালে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে। (তিরমিযী)।
মানুষকে আল্লাহপাক অত্যন্ত সুন্দও করে সৃষ্টি করেছেন। তাই মানুষের ওপর যেমন আল্লাহর হক রয়েছে, তেমনি আল্লাহর ওপর যেমন মানুষের হক রয়েছে। আল্লাহ নিজেই তাঁর ওপর এ হক ধার্য করে নিয়েছেন। নিজেই অনুগ্রহ করে মানুষকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আর তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে না দিয়ে পথপ্রদর্শক পাঠিয়েছেন। তাদের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন কিতাব।
