মোঃ জাকির হোসেন লস্করঃ-যদি ফাঁসির মঞ্চে জান্নতির ঘ্রাণ আসে, যদি প্রাণ উড়ে যায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে, তবে সে ফাঁসি আমার তাকদিরে লিখে দিও,আমি যে তোমাকে ভালবাসি প্রভু নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে। কালিমার বাণী কন্ঠে ধারণ অপরাধ যদি হয়, মিথ্যের ছায়া দু হাতে বারণ অপরাধ যদি হয়, আমি সেই অপরাধে অপরাধী হব, নেই কোনো সংশয়। জালিমের তীর বুক পেতে নেব, সীমাহীন উল্লাসে।
সত্যিই মন ছুটে গেল জান্নাতি মৃত্যু, শহীদী মৃত্যু আলিঙ্গনে। কী সীমাহীন আনন্দ যদি প্রভুর জন্যই জীবনটা দেয়া যায়। সার্থক সে জনম, সার্থক সে মৃত্যু তো মুমিনের কামনার ধন। প্রতি ভালোবাসা প্রমাণের কামনার ধন। প্রভুর প্রতি ভালোবাসা প্রমাণের সর্বোচ্চ মাধ্যম। মুমিন তো এমনই সাহসী, এমনই বীর। শাশ্বত সত্যেও জন্য জীবনদান তার বৈশিষ্ট্য। উহারা চাহুক লাশের জীবন আমরা শহীদী দরোজা চাই, নিত্য মৃত্যু ভীত ওরা, মোরা মৃত্যু কোথায় খুঁজে বেড়াই।
জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সেই কালজয়ী কবিতা। মুমিনের আশা, নেশা আর আকাক্সক্ষা জানিয়ে দেয়। মুমিনরা তো আল্লাহর পথে আঘাতের পর আঘাত এলেও পিছপা হয় না। ক্ষত-বিক্ষত হলেও থেমে যায় না। বরং তাদের ঈমান বেড়ে যায়। যারা জখম হওয়ার পরও আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দিয়েছে, তাদের মধ্যে যেসব লোক যারা সৎ কাজ করে ও পরহেজগার তাদেও জন্য বড় পুরস্কার রয়েছে। আর যাদেরকে লোকেরা বলেছে, তোমাদের বিরুদ্ধে বিরাট সেনাবাহিনী একত্রিত হয়েছে, তাই তাদেরকে ভয় কর, এ কথা শুনে তাদের ঈমান বেড়ে গেল এবং তারা বলল, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনি কতই না ভালো কাজ সমাধাকারী। (আলে ইমরান : ১৭২-১৭৩)।
কেন আমি ঐ সত্তার দাসত্ব করব না, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার দিকে তোমাদের সবাইকে ফিরিয়ে নেয়া হবে ? (সূরা ইয়াসিন : ২০-২১)।
হে ঈমানদার লোকেরা ! তোমরা সবর কর, বাতিলপন্থীদের বিরুদ্ধে মজবুতি দেখাও, হকের খেদমতের জন্য তৈরি থাক এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে। (সূরা আলে ইমরান :২০০)।
আমি তো তোমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি। তোমরাও আমার কথা মেনে নাও।
