তর্কাতর্কি ও কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত ইয়ে ইশতিয়াক তার বড় ভাই প্রিন্স ও তার চাচা টুটুলকে ফোন করে ডেকে আনে। পর্যায়েক্রমে ইশতিয়াক আরোও বেশি রাগানিত হয়ে তার স্থানীয় বন্ধ-বান্ধবসহ শেখর নগর এলাকার বখাটে সন্ত্রাসীদেরকেও ফোন করে ডেকে নেন। এ সকল বহিরাগত উরতি বয়েসের বখাতেট ছেলেরা বাঁশের লাঠি, কাঠের ডাসা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোঃ রাজন মাঝি (বর) ও বরের সাথে থাকা অথিতিদের উপর ঝাপিয়ে পরে এবং মারপিছ শুরকরে।
এ অতর্কিত হামলায় মোঃ রাজন মাঝি, বর যাত্রিতে আসা অতিথি আবদুল বাসার, আব্দুল্লাহ, মোঃ মামুন, রবিউল, মিঠু মাঝি, ফয়সাল মাঝিসহ অনেকেই আহত হয়। এদের মধ্যে সন্ত্রাসীদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে আহত হয় মিঠু মাঝি। আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ নজরুল ইসলাম ও এলাকাবাসী আগাইয়া আসিলে পরিস্থিতির বেগত দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরিবর্তীতে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোঃ রাজনের (বর) স্ত্রী হ্যাপী আক্তার (প্রেমিকা) বলেন- লস্করপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মোঃ মহাসিন আলমের ছোট ছেলে মোঃ ইশতিয়াক এলাকার ওয়াজ মাহফিল, বাড়ির পার্শ্বে মেলার সময় আমার ওড়না ধরে টানাটানি করতো ও আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। আমি বিরক্তবোধ হয়ে বারবার বাধা নিষেধ করার পরেও ইশতিয়াকের বেহায়া পানা কমেনি। আমি ইশতিয়াককে একাধিক বার বলে বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে আমি সম্পর্কে তোমরা খালামনি হই, কেন আমাকে বিরক্ত করো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইশতিয়াক একজন বখাটে ছেলে, মূলত সে হ্যাপী আক্তারের সাথে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনাটি ঘটায়। চালাকি করে তথাকথিত ইভটিজিংয়ের নাটক সাজানো হয়। হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক খান মোহাম্মদ মঞ্জুর মোরশেদের উস্কানিতে এ ঘটনা বৃহত্তম রূপ ধারণ করে। ইভটিজিংয়ের বিষয়ে কোন সাক্ষ্য বা নিরপেক্ষ কোন বেক্তি কিংবা ছাত্র-ছাত্রীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা জানান- ইশতিয়াক খুব খারাপ ছেলে। তার বড় ভাই প্রিন্স ও চাচা টুটুল মাদক এর সাথে জড়িত আছে। ইশতিয়াক সে তার নিজের কু-কর্ম ঢাকতে এই ঘটনাকে পরিকল্পিত ভাবে ইভটিজিং এর নাটকে রূপান্তর করতে চায়। এই ষড়যন্ত্রের সঠিক তদন্তসহ দোষীদের বিচারের দাবি করছে হাঁসাড়া ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগন।
এ বিষয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রকারী পুলিশ কর্মকর্তা জানান- ঘটনা যাই হক না কেন। এলাকায় এখন শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজ করছে, ঘটনার বিপরিতে থানায় অভিযোগ হলে থানা পুশিল তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থ নিবে।