সখীপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদাতা:টাঙ্গাইলের সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । মাথা ব্যাথার চিকিৎসা ও জ্বিন ছাড়াতে একা একটি ঘরে নিয়ে মেয়েটির চোখে সরিষার তেল দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই মোয়াজ্জিন। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে মেয়ের মা বাদী হয়ে মোয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে (২৫) আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন। রুহুল আমিনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাথা ব্যাথা রোগ সারাতে ঝাড়-ফুক দিতে মেয়েটির বাড়িতে আসে মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী রুহুল আমিন। দুইদিন মেয়ের বাড়িতে এসে সবার সামনেই মাথায় ঝাড়-ফুক দেয় ওই মোয়াজ্জিন। তৃতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাড়িতে এসে মেয়ের মাকে বলে ওকে জ্বিনে ধরেছে। জ্বিন ছাড়াতে বাটিতে সরিষার তেল নিয়ে ওই মোয়াজ্জিন মেয়েকে একা একটা ঘরে নিয়ে যায়। তাঁর অনুমতি ছাড়া ওই ঘরে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে মেয়ের চোখে সরিষার তেল লাগিয়ে কাপড়-চোপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে। পরে ঘরের বাইরে থাকা লোকজন চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকে মোয়াজ্জিনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে এলাকার মাতাব্বররা সালিসি বৈঠক করে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে এলাকাছাড়া করেন।
এ ব্যাপারে মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম বলেন, মোয়াজ্জিনকে চাকরি দেওয়ার সময় তাঁর ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেওয়া হয়নি। তার কথা মতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় তার বাড়ি। এ ছাড়া আমাদের কাছে তার পূর্ণ কোন ঠিকানা নেই।
সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন- এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
