
এ ঘটনায় ওই নারীর বিরুদ্ধে রতনপুর গ্রামের রফিক মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম বাদী হয়ে সখীপুর থানায় প্রতারণা মামলা করেন। এ পর্যন্ত ওই নারী প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় আরো তিনটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আর্জিনাকে চারদিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আর্জিনা আক্তার নিজেকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রথমে টার্গেটকৃত বাড়িতে ঢুকেন। এরপর ওই বাড়িতে গ্রাম্যকেন্দ্র করা হবে এবং ২০ সদস্যের কমিটির মধ্যে ওই বাড়ির চারজনকে চাকুরী দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন। এরপর তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে সরিয়ে বাড়ির নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যান। একইভাবে গত ৩ জানুয়ারি উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামের শ্রী রিপন সরকারের স্ত্রী প্রসাদী রাণীর ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, ১০ এপ্রিল দাড়িয়াপুর সাড়পেছ এলাকার আকবর আলীর পরিবারের কাছ থেকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার এবং ২২ এপ্রিল বেতুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রিতু আক্তারের ১ ভরি স্বর্ণালংকার এবং সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল রতনপুর গ্রামের লাভলী বেগমের দেড় ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে সে। এ ব্যাপারে দাড়িয়াপুর সাড়পেছ এলাকার আকবর আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন- ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক চাকুরীর প্রশিক্ষণ দেওয়ার হবে বলে আমার পরিবারের চারজনকে নিয়ে ওই নারী সখীপুরের উদ্দেশ্যে বের হয়। রওয়ানা হওয়ার সময় এতো দামি গহনা সঙ্গে থাকলে তাদের চাকুরী হবে না জানিয়ে গহনা খুলে রেখে যেতে বলে। কিছুদুর যেতেই তাদেরকে আপনারা যেতে থাকেন উত্তরপাড়া আমার আরো লোক আছে তাদের নিয়ে আসি বলে আবার ফেরত আসে। বাড়িতে এসে ওই মহিলা আমার কাছে পানি চাইলে আমি পাকের ঘরে পানি আনতে গেলে সে এর ফাঁকে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার চুরি করে নেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন- প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আর্জিনা তার এহেন অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। রিমান্ড মুঞ্জুর হলে আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও তিনি জানান।