মোহাম্মদ জাকির লস্কর, মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলা ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায় বিভিন্ন ছোট বড়গাছে একাধিক সাইন র্বোড আটকানো । প্রকৃতির শোভা বর্ধনেইনয় গাছ আমাদের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে। গাছ থেকে যে পরিমাণ অক্সিজেন আমরা গ্রহণ করি ঠিক সেই পরিমাণ মানুষের শরীর থেকে বের হওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নেয় গাছ। আজকাল প্রায় লক্ষ্য করা যায় রাস্তার পাশে বিভিন্ন নামি দামি লোকের বা পেশার মানুষের নাম পদবী খোচিত সাইনর্বোড লোহার পেরেক দিয়ে বসানোবা আটকানো গাছের শরিরে থাকে। গাছকে এভাবে আঘাত করা নেহাতী সেটা ঠিক কিনা আমার জানা নেই তবেজীব বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করেন ও গবেষনা করেন এমন একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন এটা ঠিকনা । গাছ এবং মানুষ একে অপরের উপর র্নিভর শীল গাছ আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করে মানুষ তা গ্রহন করে এবং মানুষ র্কাবন ডাই অক্সাইড নির্গত করে গাছ তা গ্রহন করে । তাই গাছ না বাচঁলে মানুষ বাচঁবেনা ।বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেশের আয়তন ও জনসংখ্যানুপাতে.২৫ ভাগবন ভূমি থাকা প্রয়োজন কিন্তু বাস্তবে রয়েছে ৮-১০ ভাগবন ভূমি। মানুষের প্রয়োজনে গাছের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। অক্সিজেন তৈরি এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ ছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, খরা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি থেকে আমাদের রক্ষা করে। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ প্রকৃতিকে নয়নাভিরাম দৃশ্যে পরিণত করে। সবুজ বৃক্ষের সমারোহ আমাদের দৃষ্টি শক্তি কে আরও প্রখর করে। শুধু কি তাই গাছ আমাদের ফল দেয়, ছায়া দেয়, জীবন রক্ষায় ওষুধ দেয়, গাছের কাঠ দিয়ে আমরা ঘরের শোভা বর্ধনে এবং ব্যবহারে প্রয়োজনে আসবাবপত্র তৈরি করতে পারি। অভাব ও বিপদে টাকার যোগান দেয়। আগে কার আমলে আমরা দেখেছি বাড়ির চার দিকে বিরাট আকৃতির বটবৃক্ষ ছাড়াও কড়ই, তাল, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু প্রভৃতি গাছ। কিন্তু মানুষ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সেই সব বড় বড় গাছ কেটে ফেলছে। একশ্রেণির বৃক্ষ নিধন কারীর হাত থেকে গাছ যেন কোনো ভাবেই রক্ষা পাচ্ছেনা। ইটের ভাটার জলন্ত আগুনে পুড়ছে আজ বৃক্ষ। একদিকে দেশি প্রজাতির গাছ গাছালি যেমন হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি ভিন্ন দেশি গাছ লাগানো হচ্ছে বেশি। স্যারজগদীশ চন্দ্র বসুর লেখাতেই প্রথম জেনেছি। গাছের ও প্রাণ আছে। নিজের যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন। আঘাত পেলে এরা কাঁদে, খুশীতে আনন্দ করে। প্রাণ থাকলে আমাদের মত মস্তিষ্কও নিশ্চয় আছে। যেখানে মনের কথা লুকিয়ে থাকে। সমগ্র অংগ-প্রতঙ্গ পরিচালনার জন্য নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (জ্ঞান) আছে। একটি ডালা বাপাতা ছিড়লে জীব-জন্তুর রক্তের মত কষ বের হয়। জলের পাইপ অজৈব বস্তু। ফেটেবা কেটে গেলে একজন কারিগর মেরামত না করলে জলপড়তেই থাকে। কিন্তু জীব-জন্তুদের মস্তিষ্ক আছে। মস্তিষ্ক রক্তপড়া বন্ধের জন্য তৎপর হয়ে উঠে। রক্ত জমাট বাঁধে। পড়া বন্ধ হয় আপনা থেকেই। গাছদেরও কষ পড়া নিজ থেকেই বন্ধের ব্যাপার আছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা, ফরেস্টার, মোঃ সেলিম খান জানান, গাছে লোহার পেরেক দিয়ে আঘাত করে সাইন র্বোড আটকানোঠিক না এতে জীব বৈচিত্র্যও ক্ষতি হয় তাই তারা এসবসাইন র্বোড সারানোর জন্য নিজ নিজ এলাকার স্থানিয় প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছেন ।
Tags “গাছেরও প্রাণ আছে”পেরেকে ক্ষতবিক্ষত গাছ
Check Also
নোয়াখালীর সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের খুনীদের হত্যার বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন
জেলা প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কিরের খুনীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের …