টংগীবাড়ি (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ি ঐতিহ্যবাহী সরকারী খাল আজ দখল আর দূষনে হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রভাবশালী মহলের একের পর এক দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার কারনে খালের দু’পাড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। ফলে দিন দিন খালটি সরু হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া টংগীবাড়ি বাজারের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আর্বজনা অপসারন করা হচ্ছে ওই খালে। যার ফলে খালটি পরিণত হয়ে উঠেছে ভাগাড়ে । পরিবেশ মারাত্বক ভাবে দূষন হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী টংগীবাড়ি খালটির এক সময়ের যৌবনের সেই স্রোত এখন আর দেখা যায়না। স্থানীয়দের কাছে খুবই পরিচিত এ খালটি। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের দখলদারি আর অবহেলায় এক সময়ের টইটম্বুর খাল এখন পরিণত হয়েছে দুর্গন্ধময় এক নালায়। টংগীবাড়ি পরিবেশ বজায় রাখার জন্য এই খাল গুলোর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। দখলদারদের দখলদারি আর অবহেলায় খালটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। সরেজমিনে দেখা গেছে, টংগীবাড়ি বাজারের সাথে মিশে থাকা এই খালটি। মূলত পদ্মা নদীর শাখা নদী। ধলেশ্বরী নদীতে গিয়ে মিশেছে। খালের দু’পাশে দখল করে গড়ে উঠেছে নান ধরনের স্থাপনা। এছারা দীর্ঘ দিন খালটিতে ড্রেজিং ব্যবস্থা না করায় কারনে পলি মাটি ও ময়লার আর্বজনা ফেলার কারনে খালটি হারিয়ে যেতে বসেছে। টংগীবাড়ি বাজারের বিভিন্ন পচাঁ সবব্জি, মরা হাস-মুরগী ও গরু-ছাগলের রক্তসহ নানা ধরনের ময়লা ফেলার কারনে দুর্গন্ধে সাধারন মানুষের চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। খালে মধ্যে আবর্জনা দেখে মনে হবে এটা কোনো ময়লার ডাজবিন। মোঃ ইউসুফ জামাল (৩৫) বলেন, বছরের পর বছর এ খালে ড্রেজিং না করায় নাব্য সংকটের কবলে খালটি হারিয়ে গেছে। খাল পার হওয়ার সময় দূর্গন্ধে তাদের বমি চলে আসে। টংগীবাড়ি বাসিন্দা সামসুদ্দিন তুহিন (২৭) জানায়, আমরা এই পানি ব্যাবহার করতে পারিনা। এখন খালের পানি ব্যবহারতো দূরের কথা। খালের পানি এখন কালো ও দূর্গন্ধের কারনে পাশ দিয়ে যাওয়াই দুষ্কর। এক সময় এই খালে প্রচুর পরিমানে মাছ পাওয়া যেতো। অনেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। খাল দিয়ে পন্য বাহি লঞ্চ, স্টিমার, নৌকা চলা চল করতো। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ অতি সহজেই তাদের পন্যবাহী মালা-মাল অনায়াসে নিতে পারতেন। কিন্ত অত্যন্ত দু:খের বিষয় দখল আর দুষনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী টংগীবাড়ি খালটি। হয়তো এ ভাবে দখল বানিজ্য চলতে থাকলে এক সময় খালটি মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ি উপজেলা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
