শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে ৩১ মার্চ রবিবার, ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মসিউর রহমান মামুন (আনারস), পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুর রহমান জিঠু (টিউবওয়েল) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেহেনা বেগম (কলস)। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইয়ে তৃণমুল ভোটে বিজয়ী বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান মামুন আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ৮৩৫ ভোট পেয়ে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বি বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯১৪ ভোট এবং উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭০ ভোট। শহিদুল ইসলাম এককুল খান মোটর সাইকেল প্রতীকে ১২’শত ৮৯ ভোট ও হাফিজুল রহমান জান্টু দলীয় প্রতীক কুলা মার্কায় পেয়েছেন ৬১৮ ভোট।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান জিঠু টিউবওয়েল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিন হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল হক নিশাত সিকদার তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৩ ভোট। উড়োজাহাজ প্রতীকে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ১১ হাজার ৬১ ভোট, বিকল্প যুবধারার কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর আলম নিশি কুলা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ৫১৮ ভোট এবং নুর হোসেন সুমন চশমা প্রতীক ৩৭৭ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য উপজেলা আ’লীগের মহিলা লীগের সহ-সভানেত্রী রেহেনা বেগম কলস প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ন-আহবায়ক মর্জিনা বেগম মুন্নী ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪৬৮ ভোট।
এছাড়াও জেলা বিএনপির মহিলা দলের সদ্য বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদিকা জাহানারা বেগম হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯১৭ ভোট ও জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ন-আহবায়ক আঁখি শাহিন প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৫১ ভোট। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ৮৮ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৩ জন। ভোটার উপস্থিতি শতকরা ৪১ ভাগ।